পাহাড়পুর ও ময়নামতি

পঞ্চম শ্রেণি (ইবতেদায়ী) - বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় - বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন | | NCTB BOOK

পাহাড়পুর

এই ঐতিহাসিক নিদর্শনটি ৭৮১-৮২১ খ্রিস্টাব্দে পাল রাজা ধর্মপালের শাসনামলে নির্মিত হয়। পাহাড়পুর রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলায় অবস্থিত। এখানে ২৪ মিটার উঁচু গড় রয়েছে, এটি 'সোমপুর মহাবিহার নামেও পরিচিত।

এই চমৎকার বৌদ্ধ বিহারের চারপাশে ১৭৭টি ভিক্ষুকক্ষ আছে। এছাড়া এখানে মন্দির, রান্নাঘর, খাবার ঘর এবং পাকা নর্দমা আছে। এখানে পাওয়া গেছে জীবজন্তুর মূর্তি ও টেরাকোটা।

 

ময়নামতি

অষ্টম শতকের রাজা মাণিক চন্দ্রের স্ত্রী ময়নামতির কাহিনী এই জায়গার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশের দক্ষিণ- পূর্ব অঞ্চলে কুমিল্লা শহরের কাছে ময়নামতি অবস্থিত। 

এটি বৌদ্ধ সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্ৰ ছিল। তবে এখানে হিন্দু ও জৈন ধর্মেরও নিদর্শন পাওয়া গেছে। এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিদর্শন পাওয়া গেছে। এখানকার অন্যান্য নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে জীবজন্তু অঙ্কিত পোড়ামাটির ফলক, যেমন বেজির সঙ্গে যুদ্ধরত গোখরা সাপ, আগুয়ান হাতি ইত্যাদি। এখানকার জাদুঘরে বিভিন্ন মুদ্রা ও পাথরের ফলকের নিদর্শনও আছে।

 

ক. এসো বলি

পাহাড়পুর ও ময়নামতির মধ্যে কোন স্থানটি তোমরা দেখতে যেতে চাও তা জোড়ায় আলোচনা কর। স্থানটি দেখতে চাওয়ার কারণগুলো কী কী? 

কীভাবে তোমার পরিবারের সদস্যদের এ স্থানটিতে যেতে রাজি করাবে?

 

খ. এসো শিখি

ছবিতে দেওয়া এই চমৎকার পোড়ামাটির ফলকটি পাহাড়পুরে পাওয়া গেছে। পর্যটকদের উদ্দেশে প্রকাশিত লিফলেটের জন্য ফলকটি সম্পর্কে একটি উপযুক্ত বাক্য তৈরি কর।

 

গ. আরও কিছু করি

মনে কর, তুমি একজন প্রত্নতাত্ত্বিক এবং ভূমি পাহারপুর অধিকার করেছ। সেখানে এমন করার পর তুমি যা যা খুঁজে পেজে পার সেগুলোর বর্ণনা দাও।

 

ঘ. যাচাই করি

নিচের নিদর্শনগুলো বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানে পাওয়া গেছে। যে বিশ্বরটি যে স্থানের, ছকে সে অনুযায়ী লেখ।

উঁচুগড়                             বৌদ্ধ ধর্মীয় নিদর্শন                              গোপন কুঠুরি

অষ্টম শতক                     বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল            বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল 

 

পাহাড়পুরপাহাড়পুর ও ময়নামতিময়নামতি
   
   
   
   
Content added By
Promotion